দেশের প্রথম করোনা রোগী প্রধানমন্ত্রীকে সুস্থ হওয়ার যে গল্প শোনালেন

ফয়সাল শেখ। পড়াশোনা করেন জার্মানিতে। ছুটিতে দেশে ফিরে শনাক্ত হন তিনি করোনায় আক্রান্ত। ঢাকায় শনাক্ত হওয়া প্রথম করোনাভাইরাস রোগী তিনি।

 

গত ১ মার্চ ঢাকায় ফেরার ১০ দিন পর তার করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়। পরে নিজ উদ্যোগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) যান ফয়সাল। সেখানে প্রাথমিক টেস্টে তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এ দিকে মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজের সুস্থ হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান ফয়সাল। তিনি বলেন, আমি জার্মানিতে পড়াশোনা করি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গত ১ মার্চ আমি দেশে আসি। কিন্তু ১০ দিন পর আমার শরীর খুব খারাপ হওয়ার বিষয়টি অনুভব করি। এবং আমাদের মাঝে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। পরে নিজ থেকে আমি আইইডিসিআরে যাই।

 

প্রধানমন্ত্রীকে ফয়সাল বলেন, সত্যি কথা বলতে প্রথম একটু ভয় পেয়েছিলাম যে, এখানে আমি জার্মানির মতো চিকিৎসা পাব কিনা?

তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আইইডিসিআরের নির্দেশনা মোতাবেক আমি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকি। আমার পরিবারের সদস্য এবং আমি যাদের সঙ্গে দেখা করেছি, মিশেছি তাদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। পরবর্তীকালে কয়েক দফা টেস্ট করার পর করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসলে আমি পরিবারের কাছে ফিরে যাই। আমার পরিবারের অন্য কারো সমস্যা হয়নি।

আইইডিসিআরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফয়সাল বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই ডাক্তার ফার্সি আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। সব সময় খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আমি সত্যি খুশি। আইইডিসিআরের চিকিৎসাসেবায় আমি খুশি। এ জন্য শুকরিয়া আদায় করছি। আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশনায় আমি দেশবাসীকে বলব, ঘরে থাকুন, যতদিন ঘরে থাকতে বলা হয় ঘরে থাকুন।

পরে ফয়সালকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন- তোমার পরিবারের কারও সমস্যা হয়নি? জবাবে এই তরুণ বলেন, না। কোনো সমস্যা হয়নি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।